প্রকাশিত: Sun, Jun 30, 2024 12:00 PM
আপডেট: Wed, Jul 9, 2025 6:26 PM

[১]খুলনায় এনবিআরের সচিব ফয়সালের বাবার নামে বাড়ি প্লট

জাফর ইকবাল অপু, খুলনা: [২]  খুলনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের পরিবারের দুটি বাড়ি ও প্লটের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

[৩] বাড়ির গ্যারেজে একটি টয়েটো হ্যারিয়ার গাড়ি দেখা গেছে। তার স্ত্রী একটি হ্যারিয়ার গাড়িতে করে প্রায় খুলনায় ঘোরাফেরা করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বাড়ি খুলনা মহানগরীর মুজগুন্নী এলাকায়। তার বাবার নাম কাজী আবদুল হান্নান। তবে স্থানীয়রা তাকে ফিরু কাজী হিসেবে চেনে।

[৫] খুলনার মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় প্রায় দুই বিঘার জমির একটি প্লট রয়েছে। শুক্রবার মুজগুন্নী এলাকায় গিয়ে প্লটে ফিরু গাজীর নাম সাইনবোর্ডে ঝুলতে দেখা গেছে।

[৬] এছাড়া যশোর রোডের নেছারিয়া মাদ্রাসার পাশে প্রায় দুই বিঘার জমির ওপর আলিশান তিনতলা বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বাবা-মা বসবাস করতেন। শুক্রবার বিকেলে ওই বাড়িতে গেলে প্রতিবেদকের সঙ্গে কেউ কথা বলতে চাননি।

[৬] কেসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মাহফুজুর রহমান লিটন জানান, তাদের সম্পদশালী হিসেবেই এলাকার মানুষ জানে। কাজী ফয়সাল এলাকায় কম আসতেন। তবে তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন কয়েক দফা তার কাছে সনদ দিতে এসেছেন। প্রায় তিনি টয়েটা হ্যারিয়ার গাড়িতে ঘোরাফেরা করতেন।

[৭] বৃহস্পতিবার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। জব্দের আদেশ হওয়া সম্পদের মধ্যে আছে- কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের ঢাকার একটি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠার দুটি প্লট। এ ছাড়া তার ও তার স্ত্রীসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করেছেন আদালত।

[৮] দুদকের সরকারি কৌঁসুলি মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, এনবিআরের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। এ বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করছে। প্রাথমিকভাবে দুদকের অনুসন্ধান দল ঢাকায় তার ফ্ল্যাট, দুটি প্লট, সঞ্চয়পত্রসহ ১৬ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে। এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার জন্য আজ দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

[৯] দুদক লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে, আবু মাহমুদ ফয়সাল সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ লেনদেন করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উৎস গোপনের জন্য নিজের নামসহ তার আত্মীয়স্বজনের নামে ৭০০টির বেশি হিসাব খোলেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করা। দুদকের পক্ষ থেকে আবু মাহমুদ ফয়সালের সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান